ইংরেজি শেখার সহজ উপায় যা কাজ করবে নিশ্চিত আপনার ক্ষেত্রে।
প্রারম্ভিক কিছু কথাঃ
ইংরেজি শেখার সহজ উপায় সম্পর্কে অবগত হওয়ার পূর্বে, বা কিভাবে ইংরেজি শিখবো তার দিকনির্দেশনা জানার পূর্বে, আমাদের জানা উচিত যে, নিজ মাতৃভাষা ব্যতীত পৃথিবীতে যত ভাষা আছে, হোক সেটা ইংরেজি বা আরবি অথবা জাপানিজ, ভাষা শিখতে নিতে হবে কঠিন চ্যালেঞ্জ, লেগে থাকতে হবে নাছোড়বান্দার মত, যতদিন না বলতে পারছেন ঐ ভাষায় সাবলীলভাবে, সবার সামনে নির্ভিকভাবে।তাহলে, এখন প্রশ্ন হচ্ছেঃ আপনার জন্য ইংরেজি শেখার সহজ উপায় কি? উত্তর হচ্ছেঃ বাস্তব কিছু কৌশল অবলম্বন, সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ, উপযুক্ত পরিবেশে নিজেকে আবদ্ধকরণ, এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিজ্ঞদের সংস্পর্শ গ্রহণ, সেইসাথে করতে হবে উপরোক্ত বিষয়গুলোর নিয়মিত অনুসরণ, যদি করতে চান আপনার ইংরেজি শেখা নিশ্চিতকরণ।
সহজে ইংরেজি শেখার উপায় সম্পর্কে নিম্নে যেসব কৌশল এবং চূড়ান্ত সমাধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারবেন যে, এই আর্টিকেল আপনার জন্য উপযুক্ত ছিলো এবং আর্টিকেলটি আসলেই আপনাকে দিয়েছে পরিপূর্নভাবে ইংরেজি শেখার গাইডলাইন।
ইংরেজি শেখার গুরুত্বঃ
চেষ্টা আমরা তখনই করি, যখন আমরা কোন কিছু অর্জনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত হতে পারি। ইহা খুবই সাধারণ একটি ব্যপার, যে বস্তুকে মানুষ মূল্যায়ন করে না, সে বস্তু পাওয়ার জন্য মানুষ চেষ্টা তো দূরের কথা, সামান্যতম আগ্রহও প্রকাশ করে না।কিভাবে ইংরেজি শিখবো, কিভাবে ইংরেজিতে পারদর্শী হবো, তা নিয়ে অনেকের আগ্রহ থাকলেও, বাস্তবে যখন ইংরেজি শেখার প্র্যাকটিস শুরু করা হয়, তখন কতজন শতভাগ সফল হতে পারে?
তাই, আমরা বলছি যে, ইংরেজি শেখার গুরুত্ব না জানা পর্যন্ত আপনি হয়তো ইংরেজি শেখার প্র্যাকটিস আন্তরিকভাবে শুরু করবেন না, বা শুরু করার পর ধারাবাহিক থাকবেন না।
নিম্নে আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে ইংরেজি শেখার গুরুত্ব বা ইংরেজি শেখার উপকারিতা সম্পর্কে কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরলামঃ
শিক্ষার পরিধি বৃদ্ধিঃ
বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য ইংরেজি শিখে IELTS করা ইহা কমন একটি ব্যপার যা মূলত সবারই জানা আছে। ইহা ছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে ইংরেজি শেখার, যা হয়তো আপনি জানলেও গুরুত্ব দেননি কখনো।
দেশে অথবা বিদেশে যেখানেই পড়াশোনা করেন না কেনো, নির্দিষ্ট সংখ্যক পৃষ্টার টেক্সটবুকের বাহিরেও আরো অনেক স্টাডি ম্যাটারিয়াল বা রিসোর্স রয়েছে যা শুধুমাত্র একজন চৌকশ ছাত্র/ছাত্রী ভালো জানেন এবং ইহার সুবিধা ভোগ করেন।
যেহেতু পৃথিবীর প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান বা লেখক দ্বারা প্রকাশিত জার্নাল, রিসার্চ পেপার বা বই ইংরেজিতেই রচিত হয়, সেহেতু উক্ত মূল্যবান শিক্ষার উপকরণগুলোর অনুসন্ধান করতে এবং সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজের শিক্ষার পরিধি, তথা জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে ইংরেজি ভাষা শেখার গুরুত্ব অপরিসীম।
ক্যারিয়ার গঠনে ইতিবাচক প্রভাবঃ
পড়াশোনা শেষ করার পর আপনার ক্যারিয়ার শুরু হোক কোন চাকরির মাধ্যমে, অথবা স্টার্টাপ কোন কোম্পানি প্রতিষ্টার মাধ্যমে, আপনি কমিউনিকেশনে দুর্বল মানে বুঝে নিতে হবে আপনার ক্যারিয়ায়ের অবস্থা খুবই নড়বড়ে।আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করছেন, সেই কোম্পানি নিশ্চয়ই কোন ব্যবসা করছে, আবার আপনি যে কোম্পানি প্রতিষ্টা করেছেন, সেই কোম্পানির মাধ্যমেও আপনি কোন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আর বর্তমানে ব্যবসার গণ্ডি শুধুমাত্র নিজ দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে এখন সবাই চায় আন্তর্জাতিক বাজার পর্যন্ত নিজ ব্যবসার অবস্থান তৈরি করতে।
আন্তর্জাতিক বাজার মানেই ইংরেজি ভাষায় ক্লায়েন্ট অথবা সাপ্লায়ারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা।
অতএব, আপনি চাকরি করেন বা ব্যবসা করেন, প্রতিযোগী বাজারে নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে এবং নিজের অবস্থান উন্নতি করতে ইংরেজি শেখা আপনার জন্য আবশ্যক।
অতএব, আপনি চাকরি করেন বা ব্যবসা করেন, প্রতিযোগী বাজারে নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে এবং নিজের অবস্থান উন্নতি করতে ইংরেজি শেখা আপনার জন্য আবশ্যক।
পৃথিবীকে জানার সুযোগঃ
কর্ম জীবনে অতিরিক্ত ব্যস্ততার কারণে অনেকে মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কাজে মনোযোগের কারণে অনেকসময় তৈরি হয় আপনজনের সাথে সম্পর্কের দূরত্ব।এসব থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই চিন্তা করেন পরিবার নিয়ে কোন জায়গা থেকে ভ্রমণ করার বিষয় নিয়ে। কিন্তু দেশের ভিতরে বর্তমানে বিরাজমান বিভিন্ন সিন্ডিকেট এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে, নিজ জেলা থেকে অন্য জেলায় বা বিভাগে ভ্রমণ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, সেই পরিমাণ টাকা দিয়ে প্রতিবেশী কোন দেশ থেকে দিব্যি ঘুরে আসা যায়।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছেঃ খরচ যেহেতু প্রায় একুই, তাহলে কেন আপনি অন্যত্র ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করছেন না? কারণ, আপনার মাঝে ভয় কাজ করে কিভাবে ভিন্ন ভাষার লোকদের সাথে কথা বলবেন তা নিয়ে।
তাই পৃথিবীকে জানার জন্য, তথা ভিন্ন সংস্কৃতির লোকদের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার জন্য আপনার শেখার প্রয়োজন একটি কমন ভাষা এবং ইহা হচ্ছে একমাত্র ইংরেজি ভাষা।
আপনার জন্য ইংরেজি শেখার সহজ উপায় যা কাজে দিয়েছিলো আমার ক্ষেত্রেওঃ
নিম্নে শুধুমাত্র ইংরেজি শেখার উপায় ঐগুলোই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, যেগুলো বাস্তবে কাজে দিয়েছিলো লেখকের নিজের ক্ষেত্রে। তো চলুন জেনে নেই কিভাবে হয়েছিলো লেখকের ইংরেজি শেখার যাত্রা শুরু।ইংরেজি শেখার সহজ উপায়- ক্রিকেট ধারাভাষ্য শোনাঃ
ক্রিকেট খেলা পছন্দ করি যার জন্য আমার ক্রিকেট ধারাভাষ্য শোনা হয় নিয়মিত। আপনি যদি অন্যকোন খেলা পছন্দ করে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে সেই খেলার ধারাভাষ্য শোনাটা হবে আপনার জন্য ইংরেজি শেখার সহজ উপায়।
তবে, ধারাভাষ্য শোনার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে আমি ক্রিকেট খেলাকেই প্রাধান্য দিবো কারণ, ক্রিকেট খেলায় এশিয়ান দেশগুলো বেশী খেলে এবং তাদের ম্যাচ গুলোর ধারাভাষ্য পরিচালনা করার জন্য কোন না কোন এশিয়ান ধারাভাষ্যকার নিযুক্ত থাকেন।
এশিয়ান ধারাভাষ্যকারদের অনুসরণ করার অন্যতম কারণ হচ্ছে, তাদের উচ্চারণভঙ্গি আমাদের সহজে বুঝে আসার মত থাকে এবং এভাবে খুব সহজে একটি নতুন বাক্যের গঠন নিজ আয়ত্তে আনা যায়।
আর যেহেতু খেলার প্রতি মানুষের আলাদা একটি টান থাকে, সেহেতু ধারাভাষ্য শোনার মাধ্যমে যেভাবে আমাদের ইংরেজি শেখার প্র্যাকটিস করতে পারিঃ-
- খেলার প্রতি অধিক মনোযোগী হওয়ার কারণে ধারাভাষ্যকারের প্রতিটি কথা শোনার মাধ্যমে নিজেদের English Listening Skill এর উন্নতি করতে পারি।
- ধারাভাষ্যকারের প্রতিটি কথা শোনার সাথেসাথে টিভির পর্দায় বাস্তব ঘটনা দেখার কারণে কোন একটি বাক্য খুব সহজে আজীবনের জন্য মনে রাখতে পারি।
- একটা পর্যায়ে অভ্যস্থ হওয়ার পর, এমনভাবে ভাষা আয়ত্তে আনতে পারি যে, টিভির পর্দায় না তাকিয়েও শুধু ধারাভাষ্য শোনার মাধ্যমেই বলে দিতে পারি খেলার কি অবস্থা চলছে।
ইংরেজি শেখার সহজ উপায়- ইংরেজি পত্রিকা পড়াঃ
English Reading Skill বাড়াতে ইংরেজি পত্রিকা নিয়মিত পড়া অনেক কার্যকরী একটি মাধ্যম তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কিভাবে পড়বেন তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না l
আমি যেভাবে প্র্যাকটিস করতাম তা হলো, আগের দিন টিভিতে যে খেলা দেখতাম, পরের দিন পাঠাগারে গিয়ে ঐ খেলার খবর ইংরেজি পত্রিকা থেকে পড়তাম।
প্রতিদিন কলেজ থেকে আসার পথে একটি পাঠাগারে নিয়মিত যেতাম এবং অল্প সময় হলেও শুধু খেলার খবর ইংরেজিতে পড়ে আসতাম। এভাবে আগের দিন যা শুনেছি, পরের দিন তা পত্রিকায় পড়ার মাধ্যমে প্রতিটি শব্দ অর্থসহ এবং বাক্যের গঠন পুরোপুরিভাবে আয়ত্তে চলে আসতো।
ইংরেজি পত্রিকা পড়ার ক্ষেত্রে খেলার খবর মূলত দুটি কারণে বাছাই করলামঃ
- খেলার খবরের বাক্যের গঠন খুব সহজ থাকে, তাছাড়া খেলা দেখা এবং খেলার খবর পড়া আগ্রহের বিষয় ছিলো, তাই খেলার খবরের পাতা খুব সহজে বুঝে আসে যা প্রতিদিন পত্রিকা পড়তে উৎসাহিত করে এবং একটা পর্যায়ে পত্রিকার যেকোন টপিকের উপর খবর কোন সমস্যা ছাড়াই বুঝা যেতো।
- সাধারণত, নতুন অবস্থায় ইংরেজি পত্রিকা হাতে নিলে সব পাতা একবার উলটিয়ে দেখতে মন চায়, যা নিজেকে দ্বিধার মধ্যে ফেলে দেয় যে, কোন টপিক এর খবর পড়তে হবে। এই রকম দ্বিধা পরবর্তীতে পত্রিকা পড়ার প্রতি একটি ভয় তৈরি করে ফেলে। অতএব, পত্রিকা পড়ার প্রতি সাহস বাড়ানোর জন্য প্রথমে একটি নির্দিষ্ট টপিক যা আপনার কাছে সহজ বলে মনে হয় তা নির্বাচন করা উত্তম।
ইংরেজি শেখার সহজ উপায়- আয়নার সামনে কথা বলাঃ
সহজে ইংরেজি শেখার উপায় বর্ণনা করতে গিয়ে আমরা উপরে যে দুটি পদ্ধতির কথা বলেছি, তার প্রথম পদ্ধতি আমাদের ইংরেজি ভাষায় শোনার দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং দ্বিতীয় পদ্ধতিটি আমাদের ইংরেজি ভাষায় পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
এখন আসুন জেনে নেই কিভাবে ইংরেজি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমি মনে করি ইংরেজি ভাষায় কথা বলা শেখার প্র্যাকটিস করার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজের সাথে কথা বলা।
কারণ, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সাথে নিজে কথা বলতে না কাজ করে ভয় এবং না কাজ করে কোন লজ্জা। এভাবে কথা বলতে থাকলে একটা পর্যায়ে মুখের জড়তা অনেকাংশেই কমে যাবে যা সাহায্য করবে মানুষের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে।
তবে, অনায়াসে ইংরেজিতে কথা বলতে আরেকটি জিনিস জানা প্রয়োজন যা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইংরেজি শেখার সহজ উপায়- ভোকাবুলারি ফ্ল্যাশকার্ডঃ
কথা বলার সময় যদি শব্দের ভান্ডার ফুরিয়ে যায়, তাহলে খুব বেশি সময় কথা বলা হয়তো সম্ভব নয়। তাই বেশি বেশি ভোকাবুলারি শিখতে অবলম্বন করতে পারেন ফ্ল্যাশকার্ড পদ্ধতি।
আমি যেভাবে এ পদ্ধতি অনুসরণ করতাম তা হলো, বড় একটি কাগজকে সমানভাগে ছোট ছোট টুকরা করতাম। তারপর কাগজের এক পিঠে ইংরেজিতে শব্দ লিখতাম এবং কাগজের অন্য পিঠে সেই শব্দের অর্থ, সাথে ব্রাকেটে সেই শব্দের পার্টস অব স্পীচ লিখতাম।
এভাবে প্রতিদিন নতুন নতুন শব্দ শিখতাম এবং ফ্ল্যাশকার্ড বানিয়ে একটি বাক্সে জমা করতাম। আবার সেই বাক্স থেকে প্রতিদিন সবগুলো ফ্ল্যাশকার্ড র্যান্ডমলি একটা একটা করে বাহির করতাম এবং ভোকাবুলারি শেখার প্র্যাকটিস করতাম।
- প্র্যাকটিসটা এমন ছিলো যে, ফ্ল্যাশকার্ড হাতে নিলে যদি ইংরেজি শব্দ যে পিঠে লিখা সেই পিঠ সামনে পড়লে, ইংরেজি শব্দ দেখে তার বাংলা অর্থ মনে করার চেষ্টা করতাম এবং পরে মিলিয়ে দেখতাম।
- একইভাবে, বাংলা অর্থ লেখা ফ্ল্যাশকার্ডের পিঠ সামনে পড়লে মনে করার চেষ্টা করতাম তার ইংরেজি শব্দ কি এবং পরে মিলিয়ে দেখতাম।
- এভাবে মাত্র একমাসের ভিতর প্রায় ৫০০০ ভোকাবুলারি আমার মুখস্ত করা হয়েছিল, যা হয়তো ফ্ল্যাশকার্ড ছাড়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো না।
আরো পড়ুনঃ IELTS Writing এ ভালো স্কোর করতে কার্যকরী টিপস।
ইংরেজি শেখার সহজ উপায় এবং সবচেয়ে কার্যকরী উপায়ঃ
ইংরেজি শেখার এবং প্র্যাকটিস করার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকলে আপনার ইংরেজি শেখার চেষ্টা ধারাবাহিক থাকবে না।
শেখার পরিবেশ কোথায় পাবেন? সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে নিজের প্রচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি একজন ভালো মেন্টর এর আওতায় প্র্যাকটিস করা।
উপযুক্ত শেখার পরিবেশ পেতে আপনি ইংরেজি শেখার কোর্স বা ইংরেজি শেখার অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন।
তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি ইংরেজি শেখার অ্যাপস এর পক্ষে নয়, কারণ অ্যাপ থেকে শেখার সময় মনে হয় কোন মেশিন আমাকে শিক্ষা দিচ্ছে। অ্যাপ এর মাধ্যমে ইংরেজি শিক্ষা অনেকাংশে রবোটিক মনে হয়।
তাই আপনি চাইলে যেকোন অফলাইন, অথবা অনলাইন ইংরেজি শেখার কোর্স পছন্দ করতে পারেন।
তার আগে অফলাইন এবং অনলাইন ইংরেজি শেখার কোর্সের মাঝে কি কি পার্থক্যগত সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে তা জেনে নেইঃ
- স্বাধীনতাঃ অফলাইন কোর্সের চেয়ে অনলাইন কোর্সে অনেক স্বাধীনতা রয়েছে, কারণ নিজ ইচ্ছামত যেকোন সময় চাইলে ক্লাস করা যায়।
- সময় সাশ্রয়ীঃ অনেকে চাকরি করেন বা বাসায় অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন, ফলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেন না, বা উপস্থিত হতে পারলেও রাস্তায় আসা যাওয়ার পিছনে অনেক সময় নষ্ট হয়। এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনলাইন কোর্স একটি উপযুক্ত সমধান হতে পারে।
- সহজসাধ্যতাঃ সাধারণত ক্লাসে স্যারের লেকচার শোনার সাথেসাথে তা খাতায় লেখা বা নোট করার প্রয়োজন পড়ে, যা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি একটি লেকচার চাইলেও স্যারের মাধ্যমে বারবার রিপিট করানো সম্ভব হয়না। এসব ক্ষেত্রে একটি অনলাইন ইংরেজি শেখার কোর্সে রয়েছে ক্লাস নোট গ্রহণের সুবিধা এবং ক্লাস রিপিট করার সুবিধা।
- অধিক প্র্যাকটিসের সুযোগঃ অফলাইন কোর্সে একজন শিক্ষক সময় স্বল্পতার কারণে সবার জন্য আলাদাভাবে প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করতে পারেন না, কিন্তু অনলাইন কোর্সে প্র্যাকটিসের সুযোগ অনেক রয়েছে, থাকে প্র্যাকটিসের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি। সেইসাথে ক্লাস করার সময় যেহেতু অন্য কেউ পাশে থাকে না, যার কারণে জড়তা বা লজ্জাও কাজ করে না।
- কম খরচঃ তুলনামূলকভাবে, অনলাইন কোর্সের মূল্য অফলাইন কোর্সের চেয়ে অনেক কম হয়ে থাকে। সাধারণত, অফলাইন কোর্স করতে গিয়ে বাসা থেকে কোচিং সেন্টারে যাওয়া আসার পিছনে যে খরচ হয় তার থেকেও কম খরচে একটি অনলাইন কোর্স কেনা যায়।
সঠিক মেন্টর কিভাবে বাছাই করবেন?
এ বিষয়টি সম্পূর্নভাবে নির্ভর করে আপনার উপর, কারণ প্রতিটি মানুষেরই আলাদা আলাদা পছন্দ এবং অপছন্দ থাকে।তবে সফলতার কথা চিন্তা করলে আমরা মুনজেরিন শহীদ এর নাম উল্লেখ করতে পারি যার 👉👉👉ঘরে বসে স্পোকেন ইংলিশ👈👈👈 কোর্সটি আমার কাছে বেশ ভালোই মনে হয়েছে।
ইংরেজি শেখার কোর্স এর ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে নিম্নের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
আমাদের মন্তব্যঃ
যারা অনেকদিন ধরে ইংরেজি শেখার সহজ উপায় খুঁজছেন, তাদের জন্য নিজ জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সকল কার্যকরী পদ্ধতিগুলোর কথা সুন্দরভাবে বুঝানো হয়েছে।সেইসাথে, ইংরেজি শেখার গাইড লাইন দিতে গিয়ে আমরা পরামর্শ দিয়েছি এমন একটি ইংরেজি শেখার কোর্স এর যা বর্তমানে Best Spoken English Course in Bangladesh।
আশা করছি, উপরোক্ত সকল পদ্ধতিগুলো একত্রিতভাবে অনুসরণ করে খুব অল্প সময়ে আপনি ইংরেজি শিখতে সক্ষম হবেন।
শেষ কথা, আপনি যেভাবে এই আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়েছেন, অন্যদেরও সেভাবে উপকৃত করতে আজকের এই ইংরেজি শেখার সহজ উপায় গুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।