ঋণ থেকে মুক্তির এবং রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ছবিসহ জেনে নিন খুব সহজেই।

প্রারম্ভিক কথাঃ

হযরত আলী (রাঃ) বলেনঃ তোমরা রিজিকের জন্য অনুসন্ধান করো দিনের আলোতে এবং তোমাকে যিনি রিজিক প্রদান করেন, তাকে অনুসন্ধান করো রাতের অন্ধকারে। 

সুতরাং আপনার রিযিকদাতাকে কিভাবে অনুসন্ধান করবেন, তার জন্য হাদিসের আলোকে সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া এবং সেইসাথে ক্বোরআন মাজীদের সূরা দ্বারা রিজিক বৃদ্ধির আমল নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া, হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, ঋণ পরিশোধের দোয়া, পাহাড় সমান ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া, Rijik Baranor Amol, Rijik Briddhir Amol

পবিত্র ক্বোরআন মাজীদের সূরা দ্বারা রিজিক বৃদ্ধির আমলঃ

হযরত  আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তিলাওয়াত করবে, তাকে কখনো অভাব স্পর্শ করবে না। আর হযরত  আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) তার মেয়েদের প্রতি রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তিলাওয়াতের নির্দেশ দিতেন। [বাইহাকি- শুআবুল ঈমান- ২৪৯৮]।

অতএব, অভাবে না পড়ার জন্য এই বরকতময় সূরাটি আপনি প্রতিদিন নিয়মিত মাগরিবের নামাযের পর পড়তে পারেন।

রিজিক বৃদ্ধির আমল হিসেবে সূরা ওয়াক্বিয়াহ এর যে তথ্যগুলো জানা উচিতঃ

  1. অবতীর্ণঃ মক্কা, অতএব সূরা ওয়াক্বিয়াহ একটি মক্কী সূরা।
  2. পারা নম্বরঃ সূরা ওয়াক্বিয়াহ পবিত্র ক্বোরআনের ২৭ নম্বর পারায় বর্ণিত আছে।
  3. সূরা নম্বরঃ পবিত্র ক্বোরআন মাজীদের সকল সূরার মাঝে সূরা ওয়াক্বিয়াহ ৫৬ নম্বর সূরা।
  4. আয়াত সংখ্যাঃ সূরা ওয়াক্বিয়াহতে সর্বমোট ৯৬ টি আয়াত রয়েছে।
  5. রুকুর সংখ্যাঃ এই সূরায় সর্বমোট ০৩ টি রুকু রয়েছে।
  6. সেজদার আয়াতঃ সূরা ওয়াক্বিয়াহতে কোন সেজদার আয়াত নেই।
  7. সহজে খুঁজে পাওয়ার উপায়ঃ সবার কাছে সুপরিচিত সূরা, “আর-রাহমান” এর ঠিক পরের সূরার নাম হচ্ছে “সূরা ওয়াক্বিয়াহ”।

শুদ্ধভাবে সূরা ওয়াক্বিয়াহ বাংলা অর্থসহ অনুশীলন করার জন্য নিম্নের ভিডিওটি দেখুনঃ

হাদিসে বর্ণিত রিজিক বৃদ্ধির দোয়া। ঋণ থেকে মুক্তির দোয়াঃ

হাদিস অনুযায়ী রিজিক বৃদ্ধির দোয়া বা ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া কয়েকটি রয়েছে, তবে তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ দোয়াটি নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

আরবীতে রিজিক বৃদ্ধির ও ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া:

اللّهُمَّ اكْفِني بِحَلالِكَ عَنْ حَرامِك، وَأَغْنِني بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِواك

সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া এর বাংলা উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ! ইকফিনী বিহালালিকা, আন হারামিকা, ওয়া আগনিনী বিফাদলিকা, আম্মান সিওয়াকা।

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া এর বাংলা অনুবাদঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রয়োজনকে হারাম জীবিকার পরিবর্তে হালাল জীবিকা দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিন। এবং আপনি ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাকে মুখাপেক্ষী না করে, আপনার অনুগ্রহ দ্বারাই আমার সবকিছু পর্যাপ্ত করে দিন।

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া, হালাল রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া, ঋণ পরিশোধের দোয়া, পাহাড় সমান ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া, Rijik Baranor Amol, Rijik Briddhir Amol
দোয়াটি তিরমিযী শরীফের ৩৫৬৩ নম্বর হাদিসে বর্ণিত রয়েছে। দোয়াটি হালাল রিজিক বৃদ্ধির জন্য, ঋণ মুক্তির জন্য এবং সম্পদ বৃদ্ধির জন্য পড়া যাবে।

রিজিক বৃদ্ধির দোয়া  সুন্দরভাবে উচ্চারণ করতে নিম্নের ভিডিও দেখতে পারেনঃ


আরো পড়ুনঃ স দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ।
আরো পড়ুনঃ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো করার উপায়।
আরো পড়ুনঃ ক্বোরআন মাজীদ এবং হাদিসের আলোকে রোগ মুক্তির দোয়া।

লেখকের মন্তব্যঃ

হযরত আলী (রাঃ) এর একটি বাণী দ্বারা আমরা এই আর্টিকেল শুরু করেছিলাম এবং ঊনার এই কথার উপর ভিত্তি করেই সবার প্রতি পরামর্শ রইলো যে, আপনার, আমার এবং সকলের রিজিকদাতার সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য সর্বোত্তম সময় হচ্ছে রাত্রিবেলা।

আপনি রাত্রিবেলায় রিজিক বৃদ্ধির আমল হিসেবে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তিলাওয়াত করবেন এবং নামাযের মধ্যে, বিশেষকরে সেজদার মধ্য়ে যখন যাবেন, তখন উপরে বর্ণিত রিজিক বৃদ্ধির দোয়া বা ঋণ থেকে মুক্তির দোয়াটি পড়বেন।

নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দা-বান্দীদের সকল দোয়া শুনেন এবং কবুল করেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url